জিকরুল ফাতেমী, লালমনিরহাট:
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে আমিনুল ইসলাম বুলবুল এর নাম যেমন বারংবার উচ্চারিত হয় তেমনি লালমনিরহাটের ক্রিকেট নিয়ে লিখতে গেলে যে নামটি ঘুরে ফিরে আসে তিনি আমিনুল ইসলাম কাজল। পেশায় রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা হয়েও ১৯৭৪-১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি খেলেছেন এ অঞ্চলের দাপুটে একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে। এরপর সিনিয়র ক্রিকেটারদের টিম ভ্যাটার্ন একাদশের হয়ে খেলেন ১৯৯২ পর্যন্ত। পরবর্তীতে সংগঠক হিসেবে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য, ক্রিকেট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, লালমনিরহাট ক্রিকেট একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (২০০৮-১৮) হিসেবে ও বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।
লালমনিরহাট ক্রিকেটে তিনি একজন নিরেট সজ্জন ব্যক্তি, অসাধারণ ক্রিকেট সেন্স; খেলোয়াড়, সংগঠক, আম্পায়ার সকলের প্রিয় গুণী মেন্টর।
লর্ডস কিংবা পার্থ যেখানেই ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হউক না কেন লাইভ স্কোর তিনি তার রেডিওতে শোনেন। ক্রিকেট কমেন্ট্রির যে অপরিমেয় সাহিত্য-রস রয়েছে তার মধ্যদিয়ে তিনি আসলে মাঠের ক্রিকেটকেই উপভোগ করেন।
“ক্রিকেটে শৃঙ্খলা” বিষয়টি নিয়ে তিনি সুযোগ পেলেই খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা করেন। তার কথা “আমরা হয়তো শচীন কিংবা মাশরাফির মত ক্রিকেটার তৈরি করতে পারিনা; কিন্তু তাদের মত ভদ্র মানুষ তো বানাতে পারি”। এই জেন্টল ক্রিকেটাররা এক সময় সমাজকে এগিয়ে নিবে।
বাংলাদেশ তথা লালমনিরহাটের ক্রিকেট উন্নয়নে তার ৩টি মূল্যবান পরামর্শ দীর্ঘদিন থেকেই আলোচিত হয়ে আসছে।
১. ক্লাবগুলোর দৈন্যদশা থেকে মুক্তি পেতে অফিস/ কর্পোরেট ক্রিকেট লীগ চালু করা।
২. প্রমিলা ক্রিকেট প্রশিক্ষণ আল নাহিয়ান শিশু পরিবারের ক্যাম্পাসে নেয়া।
৩. ক্রিকেট বল ও ব্যাটের উপর ভ্যাট-ট্যাক্স একেবারে কমিয়ে আনা/ বাতিল করা।
ছোটবেলা থেকেই তার সান্নিধ্য পেয়েছি, এখনও তার স্নেহমাখা উপদেশ ক্রিকেট নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখায়। অবসর জীবনে আপনি সুস্থ্য থাকুন, দীর্ঘকাল আমাদের মাঝে বেঁচে থাকুন ক্রিকেটের বটবৃক্ষ হয়ে।
লেখক: জিকরুল ফাতেমী নিকেল, জেলা ক্রিকেট কোচ, বিসিবি, লালমনিরহাট।
★Zikrul Fatemi-এর ফেসবুক থেকে।